শিরোনাম :
সাপ্তাহিক আলোর মনি পত্রিকার অনলাইন ভার্সনে আপনাকে স্বাগতম। # সারাবিশ্বের সর্বশেষ সংবাদ পড়তে আমাদের সঙ্গেই থাকুন। -ধন্যবাদ।
শিরোনাম :
লালমনিরহাট সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ২জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬জন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র দাখিল কালীগঞ্জ ও আদিতমারী উপজেলার প্রার্থীরা ব্যস্ত প্রচারণায়! অতীত ও চলমান জীবনের প্রতিচ্ছবি- মহান মে দিবস ২০২৪ উপলক্ষে বর্ণাঢ্য র‌্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত লালমনিরহাটে গাছে গাছে জাম্বুরা ধরেছে লালমনিরহাট আইন মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষ পদে নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত! শ্রমিক নেতা হত্যা মামলায় দুই বিএনপির নেতা কারাগারে! তীব্র তাপদাহে তৃষ্ণার্ত মানুষের মাঝে খাবার স্যালাইন ও বিশুদ্ধ পানি বিতরণ অনুষ্ঠিত মাঠ জুড়ে শোভা পাচ্ছে সোনালী ধানের শীষ ১নং মোগলহাট ইউনিয়ন পরিষদের উন্মুক্ত বাজেট ঘোষণা অনুষ্ঠিত
বাঁশের সাঁকোই ভরসা ৭টি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষের!

বাঁশের সাঁকোই ভরসা ৭টি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষের!

লালমনিরহাটের মোগলহাট ইউনিয়নের কোদালখাতা ও কুলাঘাট ইউনিয়নের ছিরা বনগ্রামের কয়েক হাজার মানুষের বসবাস। তাদের পারাপারের একমাত্র ভরসা রত্নাই নদীর উপর বাঁশের সাঁকো। বর্ষা এলে বাড়ে দুর্ভোগ। ঝড়বৃষ্টিতে বিপজ্জনক হয়ে ওঠে সাঁকো পারাপার। চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয় স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসার ছেলে-মেয়েদেরও। কৃষিপণ্য আনা-নেওয়ায়ও পোহাতে হয় দুর্ভোগ। বছরের পর বছর একটি ব্রীজের অপেক্ষায় রত্নাই নদীর উত্তরে ছিরা বনগ্রাম, ইটাপোতা, খারুয়া, বুমকা ও দক্ষিণে কোদালখাতা, সরকারটারী, ফুলগাছসহ ৭টি গ্রামের মানুষের।

 

রত্নাই নদীর দুই পাড়ের এলাকাবাসীর অভিযোগ, জাতীয় সংসদ, উপজেলা পরিষদ ও স্থানীয় সরকার নির্বাচন আসলে নেতা আর কর্মীদের মুখে শুধু কথার ফুলঝুরি ফোটে। নির্বাচন শেষ হলে তাদের আর সাক্ষাৎ মেলে না। বছরের পর বছর শুধুই আশ্বাস আর আশ্বাস। একটি পাকা ব্রীজের অভাবে এলাকাবাসী জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রত্নাই নদীর উপর বাঁশের সাঁকো দিয়ে প্রতিনিয়ত পারাপার হচ্ছেন। ব্রীজ যে কবে নাগাদ হবে তা কেউ জানেন না।

 

ব্রীজ না থাকায় যাতায়াত, উৎপাদিত কৃষিপণ্য বাজারে আনা-নেয়া, অন্যান্য মালামাল বহনে ভোগান্তির যেন শেষ নেই। শুধু বাঁশের একটি সাঁকো দুটি ইউনিয়নের ৭টি গ্রামের মানুষের একমাত্র ভরসা। ফলে কৃষিসমৃদ্ধ এই এলাকায় আজও তেমন আধুনিকতার ছোঁয়া লাগেনি। এখানে একটি ব্রীজ নির্মিত হলে শিক্ষার্থীসহ এলাকাবাসীর দুর্ভোগ লাঘবের পাশাপাশি সময় ও অর্থের সাশ্রয় হবে।

 

আয়নাল হক, শহিদ আলীসহ কয়েকজন বলেন, ছোট্ট একটি নদী রত্নাই। শত বছর যাবত নদীটির উপরে বাঁশের সাঁকো দিয়ে ৭টি গ্রামের মানুষের যাতায়াত। সংসদ সদস্য, চেয়ারম্যান, মেম্বাররা পাকা ব্রীজের আশ্বাস দিলেও কেউ ব্রীজটি করে দিচ্ছেন না। আমরা চাই একটি ব্রীজ।

 

মোগলহাট ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ আব্দুর রহিম বলেন, ওই স্থানে ব্রীজ না থাকায় দীর্ঘদিন ধরে মানুষকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এ ব্রীজ নির্মাণে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)র উদ্যোগ নিতে হবে।

 

কুলাঘাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ ইদ্রিস আলী বলেন, কুলাঘাটের ছিরা বনগ্রাম ও মোগলহাটের কোদালখাতা গ্রামের মানুষের সাঁকো পারাপারের বিষয়টি আমি জানি। ব্রীজ নির্মাণের জন্য তালিকাভুক্তির চেষ্টা অব্যাহত আছে। ব্রীজটি হলে ওই এলাকার মানুষের দীর্ঘদিনের দুর্ভোগ লাঘব হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন




এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
Design & Developed by Freelancer Zone